সাইবার নিরাপত্তা আইন মামলায় মা-ছেলে কারাগারে

শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:

নোয়াখালীর সেনবাগে সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলায় মা-ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে নোয়াখালীর চৌমুহনী মোরশেদ আলম কমপ্লেক্সের প্রশাসন ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে সেনবাগ থানায় এ মামলা করেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন, সোনাইমুড়ী উপজেলার বদরপুর গ্রামের মজিবুর রহমানের স্ত্রী নুশরাত জাহান ও তার ছেলে রাজিবুর রহমান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসন থেকে বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেন। নির্বাচনকালীন সময়ে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১০টায় সময় সেনবাগের কাবিলপুর ইউনিয়নের দিলদার মার্কেট এলাকায় এসে বাদী আনোয়ার হোসেনের কাছে আসামি নুশরাত জাহান ও রাজিবুর রহমান ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। এ সময় আসামিরা বলেন-তাদের এলাকায় প্রার্থী মোরশেদ আলমের জয় ও ভোট পেতে হলে ২০ লাখ টাকা দিতে হবে। ৫ জানুয়ারির মধ্যে দিতে ব্যর্থ হলে মিথ্যা, অপপ্রচার, মানহানিকর তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবেন বলে হুমকি প্রদান করেন।বিষয়টি বাদী নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলমকে জানালে তিনি আসামিদেরকে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। চাহিদামত টাকা না পাওয়ায় গত ৫ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে নুশরাত জাহান নিজের কণ্ঠে একটি অডিও রেকর্ড করে প্রার্থী মোরশেদ আলম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে সামাজিক  যোগাযোগ মাধ্যমে মানহানিকর অপপ্রচার চালায়।
মামলায় আরও বলা হয়, অপর আসামি রাজিবুর রহমান তার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি থেকে বিভিন্ন সময় মানহানির, আপত্তিকর ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিত। যার কারণে আইনশৃঙ্খলার অবনতির উপক্রম হয়। আসামিরা সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমকে হেয় করার লক্ষ্যে আক্রমণাত্মক ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দিত।
সেনবাগ থানার ওসি মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে সেনবাগ থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলার পর পরই দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

Related posts

Leave a Comment